ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, হজরত মুহাম্মদ (স.) হলেন সর্বোত্তম আদর্শের অধিকারী। আমরা যদি মানবতার মুক্তি, সুন্দর সমাজ ও কল্যাণ রাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠা করতে চাই তাহলে রাসুল (স.)-এর আদর্শের বিকল্প নেই।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পূর্ব স্থানে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত পক্ষকালব্যাপী অনুষ্ঠানমালা উদ্বোধন ও বিশ্বজয়ী হাফেজদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম ও ওফাতের পবিত্র স্মৃতি বিজড়িত দিন ১২ রবিউল আউয়াল। মুসলিম উম্মাহ কাছে দিনটি পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) নামে পরিচিত।
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত অনুষ্ঠানে ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর প্রত্যেকটি কাজ অত্যন্ত যৌক্তিক। আমরা যদি প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (স.) জীবনাদর্শ ব্যক্তিগত, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনের সর্বক্ষেত্রে মেনে চলি তাহলে আমাদের পার্থিব ও পরকালীন জীবন সফলতায় ভরে উঠবে।
ধর্ম উপদেষ্টা আরও বলেন, আমাদের প্রিয় নবী তাঁর যাপিতজীবনে মানুষের অধিকার দিয়েছেন। তিনিই সর্বপ্রথম মানুষের অধিকার ঘোষণা করেন। হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, মহানবী (সা.) ঘোষণা করেন, আরবের ওপর অনারবের কিংবা অনারবের ওপর আরবের, সাদার ওপর কালোর কিংবা কালোর ওপর সাদার আলাদা কোনো মর্যাদা নেই। যে মানুষের অন্তরে আল্লাহ ভীতি আছে, তিনি আল্লাহর কাছে সবচেয়ে দামি।
ড. খালিদ হোসেন আরও বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য নিয়েও মহানবী (স.) আমাদের নির্দেশনা দিয়ে গেছেন। তিনি তিনটি জায়গায় মলমূত্র ত্যাগ করতে নিষেধ করে গেছেন। প্রবহমন নদীর কিনারে, রাস্তায় ও গাছের ছায়ায় মলমূত্র ত্যাগ করলে পরিবেশ দূষিত হয়। এ ছাড়া পরিবেশের ভারসাম্যে রক্ষায় হজরত মুহাম্মদ (স.) গাছ রোপণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে গেছেন।
উপদেষ্টা আগামী দিনে ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (স.)-এর জীবনী আরও উন্নতভাবে প্রকাশ করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. মহা. বশিরুল আলমের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধর্ম সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার, পটুয়াখালী ওয়ায়েজিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা শাহ মো. নেসারুল হক, বাংলাদেশ মসজিদ মিশনের মহাসচিব ড. মুফতি খলিলুর রহমান মাদানি প্রমুখ।
এর আগে ধর্ম উপদেষ্টা পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (স.) উপলক্ষে প্রকাশিত স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করেন এবং বিশ্বজয়ী হাফেজদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন।